আজ সোমবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জেলা জুড়ে অপরাধ দমনে প্রশংসিত হচ্ছেন এসপি হারুন

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
গত বছরে ২৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাহার করে নিলে তার স্থলাভিষিক্ত হন বর্তমান পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদ। যোগদানের পর তিনি সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। সে সময় তিনি মাদক, জুয়া, ঝুট সন্ত্রাসী, অস্ত্র সন্ত্রাসী, রক্তপাত বিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠান, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখাসহ বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার অঙ্গীকার করেন।

দৃঢ় প্রত্যয়ী, সাহসী, সুক্ষ ধীবুদ্ধি সম্পন্ন, বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সাথে মাত্র ৩ মাস সময়ের মধ্যে তিনি সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সুশিল সমাজ, ব্যবসায়ীসহ সাধারন জনগনের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তার যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জের জুয়ার আসর থেকে প্রভাবশালীদের হোমরা চোমরাদের গ্রেপ্তার, অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রনে পতিতাদের গ্রেপ্তার, হকার ইস্যু নিয়ে সাধারন মানুষের ব্যাপক প্রত্যাশা পূরণ। মাদক ব্যবসায়ীদের আতঙ্কের কারণ, সফলভাবে রক্তপাত বিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন সাধারন জনগণের কাছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে আলোচিত সফলতাগুলো নিয়ে জানতে পুলিশের উর্ধবতন অন্তত ২০ জনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বক্তব্য পাওয়া গেছে।
অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে ব্যাপক সফলতার মধ্যে স্যার আসার এক মাসের মধ্যেই আমরা জাতীয় নির্বাচন করলাম। এই মুহুর্তে আমরা কাজ করছি ভূমিদস্যু, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। স্যার (হারুন) আসছেন এখনও তিন মাস পূর্ণ হয় নি। মাত্র আড়াই মাস হয়েছে। ২ মাসের মধ্যে তিনি ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হয়েছেন।

শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার মানে হচ্ছে সার্বিকভাবে ওয়ারেন্ট তামিল, আসামি গ্রেপ্তার, মাদক গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে ১ম হয়েছি। চাষাড়া মোড়ে ট্রাফিকের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। লিংকরোডের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। একটা জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে দুই ধরনের কাজ চলে একটা হলো প্রিভেনটিভ। প্রিভেনটিভ এ্যাকশান হলো ওয়ারেন্ট তামিল, গ্রেপ্তার, উল্লেখযোগ্য ডাকাতি কিংবা চাঞ্চল্যকর কোন ঘটনা নারায়ণগঞ্জে নাই। আর প্রিএ্যাকটিভ এ্যাকশন হলো ঘটনা ঘটার পর যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেই ব্যবস্থাগুলোও আমরা তাৎক্ষনিকভাবে নিতে পেরেছি। গত ৮ তারিখে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দেশের সকল পুলিশ কর্মকর্তাগণ এসেছিলেন। পুলিশ সুপার র‌্যাঙ্ক থেকে উপরে আইজিপি মহোদয় পর্যন্ত সকলে উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সকলেই স্যারের কর্মকান্ডে অত্যন্ত খুশি। তাছাড়া পর পর দুই বার ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হওয়া মানে বিশাল ব্যাপার। ঢাকা রেঞ্জের ১৩ টি জেলার মধ্যে নারায়ণগঞ্জই সেরা। স্যার সম্প্রতি আরেক বার বিপিএম পদক পেলেন। তবে সফলতার বিষয়ে দেখতে গেলে শেষ করা যাবে না।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখা (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও সফলতার সাথে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছেন। শহরের আলোচিত ফুটপাত উচ্ছেদ করেছেন। ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে দীর্ঘদিন থেকে ভুক্তভোগীরা তাদের পাওনা বুঝে পাচ্ছেন। তাদের কবল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। মাদক উদ্ধারে ব্যাপক সফলতা রয়েছে। পরিবহন খাতে সকল অরাজকতা মূল থেকে উৎপাটন করতে সক্ষম হয়েছেন। সবকিছু একটা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) খোরশেদ আলম বলেন, আমরা মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নেতৃত্বে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, ডিলার ও গডফাদারদের লিষ্ট করেছি। পলাতক আসামী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারে রয়েছে ব্যাপক গতি। ইভটিজিং প্রতিরোধে আমরা ব্যাপক ভূমিকা রাখছি। এ বিষয়ে বিভিন্নস্থানে সভা, প্রোগাম ও সেমিনার করছি।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের বিষয়ে বলে শেষ করা যাবে না। আমার বৈচিত্রময় কর্মজীবনে বিভিন্নস্থানে কাজ করেছি। তবে মাত্র ৩ মাসের মধ্যে এত সফলতা কোন পুলিশ সুপার অর্জন করেছেন বলে আমার মনে হয় না। নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বাংলাদেশের মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ থানা। এই থানার মধ্যে পুলিশ সুপার মহোদয় যে কতগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন তার বর্ননা করে শেষ করা যাবে না। তবে ওনার নেতৃত্বে সফল নির্বাচন, ফুটপাত উচ্ছেদ, জুয়াড়ীদের গ্রেপ্তার, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, মাদক সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার, ভূমিদুস্যদের লাগাম টেনে ধরা হয়েছে। আমার মনে হয় ওনার নারায়ণগঞ্জ নিয়ে আরও বহু মহাপরিকল্পনা রয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জে থাকলে নারায়ণগঞ্জবাসী রাতের বেলায়ও ঘরের দরজা খুলে ঘুমাতে পারবেন। স্যারের সাথে চাকরির বিষয়ে আমি বলতে চাই পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আমার দেখা স্বাধীনতার স্বপক্ষের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি তিনি। আমি সরকারের চাকরি করি পুলিশ সুপারকে খুশি করে।  আমার থানার সকল কর্মকর্তা কর্মচারী স্যারের ভালোবাসায় সিক্ত।

জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন শাহ পারভেজ বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নারায়ণগঞ্জে ইতিপূর্বে কখনও হয় নি। আর কোন দিন হবেও না। কোথাও কোন একটা টু শব্দ হয় নাই। মাদক বিরোধী অভিযানগুলো ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে ও নেতৃত্বে মাদক বিরোধী অভিযান, চাঁদাবাজি, ফুটপাত উচ্ছেদ পুলিশের জন্য ব্যাপক সফলতা বলা চলে। আমার থানার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগন মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক সহযোগীতা পাচ্ছি। ওনার দিক নির্দেশনায় মাদকের প্রতি জিরো টলারেন্স, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ফুটপাত, দখলবাজদের বিরুদ্ধে একেবারে জিরো টলারেন্স। সার্বিক দিক বিবেচনায় স্যারের নির্দেশনায় এ কাজগুলি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারছি। উনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। স্যারের কাছে আমাদের চাওয়া হলো সব বিষয়ে দিক নির্দেশনা, তাৎক্ষনিক সহযোগীতা, কাজের নির্দেশ দিলে আমরা খুশি।
জানতে চাইলে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার পরিদর্শক এনামুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়ের নেতৃত্বে আমাদের বহু কাজের সফলতা রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পাগলায় সন্ত্রাসী টেনু গ্রেপ্তার, ফতুল্লার মীরুসহ বহু সন্ত্রাসীকে আমি গ্রেপ্তার করেছি। স্যারের দিক নির্দেশনা কারনে সফলতার সাথে আমরা করতে পারছি। স্যার স্বচ্ছ বিধায় স্যারের প্রতিটা কাজে আমাদের সফলতা রয়েছে। সম্প্রতি শহরে জুয়ার আসরে গ্রেপ্তার আমাদের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সফলতা।

অরো অনেক অভিযান চলবে। আমরা সাধারন মানুষের জন্য আরো বহু কাজ করবো। যাতে করে মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। আমাদের কাছে তালিকা রয়েছে আরও বহু সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হবে। নারায়ণগঞ্জে আইন বর্হিভূত কোন কাজ আমরা কাউকে করতে দেব না।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ